ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ডিম আমরা ছোট বড় সবাই অনেক পছন্দ করি। নানারকম রান্নার পদেও আমরা ডিম ব্যবহার করি। আমরা অনেকেই জানি ডিমে অনেক উপকার আছে। আবার অনেকেই এই উপকারগুলো না জেনেও ডিম খায়। বাচ্চাদের অনেক পছন্দের খাবার ডিম। শরীর দুর্বল হয়ে গেলে, প্রেসার কমে গেলে, শক্তির যোগান দিতে ডিমের অনেক গুরুত্ব।
আমরা সাধারণত ডিমের উপকারিতা অপকারিতা না জেনেই খেয়ে থাকি। তবে কোন কিছুই যেমন বেশি খাওয়া ঠিক নয় তেমন ডিমও বেশি খাওয়া ঠিক নয় আবার একেবারে বাদে দেয়া যাবে না। শিশুদের দৈহিক বিকাশে ডিমের গুরুত্ব অনেক। আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবো ডিমের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে।
ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
টিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। প্রোটিন ফ্যাটি অ্যাসিড ভিটামিন এ অ্যামিনো এসিড ফসফরাস আইরন ফ্লোলেট এইসব পুষ্টিগুণ রয়েছে ডিমে। রয়েছে জক্সিনো থিং ও লু টেইন যা আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ১৪৩ ক্যালোরি এনার্জি থাকে একটি ডিমে। 0.৭২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ৯৫১ গ্রাম ফ্যাট এছাড়াও আরো অনেক উপকার পাওয়া যায় ডিম থেকে। আরো অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখে এবং বাচ্চাদেরকে শক্তি যোগান দিতে সাহায্য করে।
ডিম খাওয়ার উপকারিতা
আমরা নানাভাবে ডিম খায় কেউ রান্না করে খায় কেউ ভেজে খায় কেউ সিদ্ধ করে খায় কিন্তু সিদ্ধ করে ডিম খাওয়ার বেশি উপকার।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
আমরা অনেকেই জানি ডিম খেলে ওজন বেড়ে যায়। এ ধারণা একেবারেই ভুল ডিমের সাদা অংশে কোন উপকারের ফ্যাট নেই। যাদের ফ্যাট নিয়ে ভয় তারা অবশ্যই ডিমের সাদা অংশটা প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করব।
শক্তি যোগায় ডিম
প্রতিদিনের কাজকর্মে আমাদের প্রচুর শক্তি প্রয়োজন। ডিমে যে ধরনের পুষ্টিগুণ ও এনার্জি আছে তা আমাদের দেহে শক্তির যোগান দেয়। শরীর দুর্বল হয়ে গেলে ডাক্তার এরাও পরামর্শ দেয় প্রতিদিন একটি করে ডিম খাবার। শরীরে শক্তির যোগান দিতে প্রতিদিন আমাদের একটি করে ডিম খাওয়া উচিত।
হাড় মজবুত করে
ডিম আমাদের হারকে মজবুত করে। প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে আমাদের হাড়ের ক্ষয় ও ব্যথা রোধ করতে সাহায্য করবে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ডিম
বাচ্চাদের প্রতিদিন একটি করে ডিম দিতে হবে ছোট থেকে কারণ ডিমে থাকা যে উপাদান রয়েছে দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তারাও প্রতিদিন একটি করে ডিম খাব। ডাক্তার ও পরামর্শ করে চোখের সমস্যার জন্য ডিম খেতে ডিম দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।এখন সব ধরনের খাবার এতেই ফরমালিন দেয়ার কারণে আমাদের চোখের আরো বেশি ক্ষতি হচ্ছে তাই চেষ্টা করব প্রতিদিন একটি করে ডিম খাবারে রাখা।
গর্ভাবস্থায় ডিম
গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন অবশ্যই ডিম খেতে হবে। নিজের শরীরের জন্য এবং তার বাচ্চার জন্য। এখন বিভিন্ন খাবারের মধ্যে ফরমালিন এর কারণে বাচ্চাদের অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে দৃষ্টিশক্তি কম হতে পা… সেজন্য প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতেই হবে ডিম দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে এবং মায়ের শরীরের কোন ক্ষতি হতে দেবে না। বাচ্চার এনার্জি লেভেল স্ট্রং করার জন্য গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়া বিশেষ প্রয়োজন।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমরা সবাই জানি ডিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমরা বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতায় অনেকেই থাকি এই অসুস্থতা কম হতে পারে প্রতিদিন ডিম খেলে। কারণ ডিমে এমন পরিমাণ পুষ্টিগুণ আছে যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শিশুদের ছোট থেকেই রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে এর জন্য একটি করে ডিম রাখতে হবে খাবারে।
এনার্জি শক্তি বাড়ায়
প্রতিদিন সকালে একটি করে ডিম সিদ্ধ খেলে আমাদের এনার্জি শক্তি অনেক বেড়ে যাবে। ডিম এ থাকা ভিটামিন বি আমাদের শরীরের এনার্জি বাড়ায়।
ত্বক ও চুলের যত্নে ডিম
ত্বকের যত্নে ডিমের তুলনা হয় নাপ্রতিদিন ডিম খেলে আমাদের ত্বক টানটান হবে.আমরা অনেকেই কাঁচা ডিমু চুলে লাগিয়ে থাকি .এটা করে আমাদের চুল অনেক সিল্কি হয়. আর সেই ডিম খেলে ভিতর থেকে চুলকে শক্ত রাখতে সাহায্য করে . তাই আমরা প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস করব.
ডিম খাওয়ার অপকারিতা
যে কোন জিনিস বেশি পরিমাণে খেলেই তার অপকারিতা আছে. ডিমু বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে ক্ষতি হয়. ডিম অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে যায় ওজন বেড়ে যায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে.আমাদের উচিত প্রতিদিন একটা করে ডিম খাওয়া এর বেশি নয়. যাদের ওজন নিয়ে খুব বেশি ভয় আছে তারা ডিমের কুসুম টা বাদ দিয়ে ডিমের সাদা অংশটা খেতে পারেন .ডিম বেশি খেলে অনেক সময় অ্যালার্জিজনিত রোগ হতে পারে. ডিম ভালোভাবে রান্না করে না খেলে অনেক সময় বমি বমি পায়. এছাড়া ডিমে তেমন কোন অপকারিতা নেই.
লেখক এর মন্তব্য
আমার মতে বাচ্চাদের প্রতিদিন একটি করে সকালে ডিম খাওয়ার অভ্যাস করাতে হবে .এক্ষেত্রে তারা এনার্জি পাবে এবং রোতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে. প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদেরই প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া দরকার. যেহেতু ডিম বেশি খেলে নানান রকম সমস্যা হয় তাই আমরা প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার চেষ্টা করব.
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url