টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
টমেটো দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুন্দর। টমেটো আমরা সালাত এবং রান্না করে বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকি। এটি বিশেষত শীতকালীন সবজি তবে এখন সারা বছরই টমেটো কিনতে পাওয়া যায়। তবে শীতকালীন টমেটোতে কিছুটা পরিমাণে কেমিক্যাল কম দেয়া থাকে কারনে এই সময় এই সবজিটির সিজিন্যাল সময়। নানা ভাবে টমেটোর ফ্রিজে সংরক্ষণ করেও আমরা খেয়ে থাকি। এখন তো টমেটো সস কেচাপ এগুলা বাচ্চারা অনেক পছন্দ করে।
টমেটো শীতকালীন সবজি। তবে টমেটো এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। আমরা অনেকেই টমেটো ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখি। তবে শীতকালেই এসবজীর স্বাদ বেশি। টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
টমেটোতে আছে ভিটামিন কে ভিটামিন ই ভিটামিন এ পটাশিয়াম ফলেড। টমেটোতে আরো ম্যাগনেসিয়াম কপার ফসফরাস পাওয়া যায়।এতে অনেক পানীয় আছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুব ভালো।
আমরা অনেকেই জানি টমেটো ব্যবহার করলে আমাদের ত্বক কুঁচকে যাওয়া আটকায়। টমেটোর পেস্ট করে নিয়ে সেটি যদি সপ্তাহে ৩-৪ দিন ত্বকে ব্যবহার করা যায় তাহলে বয়সের ছাপ ত্বকে পড়ে না উজ্জ্বল এবং টানটান রাখতে টমেটো সাহায্য করে।
চর্ম রোগের জন্য টমেটোর গুরুত্ব অনেক। যাদের চর্মরোগের সমস্যা আছে তারা টমেটো প্রতিদিন ব্যবহার করে চর্ম রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে।
সর্দি কাশি কমাতেও টমেটো সাহায্য করে। সত্যি বা কাশি হলে টমেটোর সুপ বা কিছু সঙ্গে টমেটো মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায় বিশেষ করে বাচ্চারা টমেটো স্যুপ খেতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে টমেটো। প্রতিদিন কয়েক পিস টমেটো খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।যাদের ওজন একেবারেই কম তাদের টমেটো প্রতিদিন দু এক পিস করে খেতে হবে সে ক্ষেত্রে ওজন বাড়বে এবং শরীর সুস্থ রাখবে।
টমেটোতে থাকা পুষ্টিগুণ শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিকস রোগীদের টমেটো প্রতিদিন দু এক পিস করে খাওয়া উচিত। কারণ টমেটোতে থাকা পুষ্টিগুণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
হজম শক্তি নিয়ন্ত্রণে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। যাদের অনেকদিন যাবত কোষ্ঠকাঠিন্যয় ভুগছেন তারা প্রতিদিন ২-৩ টি করে টমেটো খাবেন কারণ টমেটোতে থাকে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
হার্টের জন্য টমেটো খুব ভালো। কারণ টমেটো রক্ত রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এবং উচ্চ রক্তচাপ কমায় তাই যাদের একটু হার্টের সমস্যা তারা প্রতিদিন দু এক পিস করে টমেটো খেতে পারেন।
টমেটো দাঁতের জন্য খুব ভালো একটি সবজি। টমেটোতে আছে ক্যালসিয়াম যা আমাদের দাঁতকে শক্ত রাখতে সাহায্য করে এবং উজ্জ্বল দেখায়। প্রতিদিন ২-৩ পিস টমেটো খাওয়ার অভ্যাস করুন দাঁত অনেক ভালো থাকবে।
চোখের জন্য টমেটো অনেক উপকারী। টমেটোতে আছে ভিটামিন এ যা আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। প্রতিদিন ২-৩ পিস করে টমেটো খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়বে।
টমেটো খাওয়ার অপকারিতা
শরীরের জন্য কোন কিছুই বেশি খাওয়া ঠিক নয় টমেটো ঠিক তাই। পরিমাণ মত সবকিছুই যেমন খাওয়া উচিত টমেটো পরিমাণ মতো খেতে হবে তবে যারা টমেটো বেশি খেয়ে ফেলেন তাদের অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে চলুন জেনে নিই কি কি অপকারিতা আছে বেশি টমেটো খাওয়াতে।
আমাদের অনেকেরই ভুল ধারণা যে টমেটো খেলে মনে হয় পাথর হয়। এটা একদমই ভুল তবে যাদের কিডনিতে পাথর আগে থেকেই আছে তারা টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকবো।কারণ টমেটোতে থাকা কিছু উপাদান কিডনিতে পাথর থাকলে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে।
আমাদের অনেকেরই অনেক কিছু খেলে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। কারো কারো টমেটো খেলেও অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দেয় তবে গুরুতর সমস্যা হয় না। সে ক্ষেত্রে টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকব বা খুব সীমিত পরিমানের খাওয়ার চেষ্টা করব।
অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকে সেক্ষেত্রে টমেটো খেলে ওষুধের সঙ্গে কিছুটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। যাদের এই ধরনের সমস্যা হবে তারা টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকব।
টমেটো যেহেতু একটু টক জাতীয় হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমাদের অনেকেরই এই সমস্যাটা দেখা দিতে পারে এসিড বা অম্লতা এটা হতে পারে।
শেষ কথা
টমেটোতে অপকারের চাইতে উপকারটাই বেশি। অতিরিক্ত কোন কিছুই খাওয়া ঠিক নয় নিয়ম অনুযায়ী খেলে তেমন কোন সমস্যা হয় না টমেটোতে। টমেটো শীতকালীন সবজি তবে বারো মাস এখন পাওয়া যায় তবে আমরা চেষ্টা করব শীতকালেই এই সবজিটি বেশি খাওয়ার কারণ বারোমাসি এর শব্দটিতে কেমিক্যাল বেশি দেওয়া থাকে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url