অতিরিক্ত আম খেলে যে সমস্যা হতে পারে



আমকে ফলের রাজা বলা হয়। আম অধিকাংশ মানুষেরই অনেক প্রিয় ফল। আম খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মজা বাচ্চারাও এর ফলটি খেতে পছন্দ করে। জৈষ্ঠ্য মাসের শুরু থেকেই আম পাকা শুরু হয়ে যায়। আমে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ থাকার জন্য বেশি পরিমাণে আম খাওয়ার ফলে শরীরের ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে যার কারণে অনেক রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়।

আমের বিভিন্ন সমস্যা
স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় হলেও আম বেশি খাওয়া উচিত নয়। আর যারা ওজন নিয়ে বেশি ভাবছেন তাদের জন্য তো আম খুব কম পরিমাণে খেতে হবে, কারণ আম খেলে অতিরিক্ত ওজন বাড়ে।

ভূমিকা

গাছ পাকা আম খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি এই আমগুলো অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। অন্যান্য ফলের চেয়ে আম বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। আমরা অনেকেই মনে করি অতিরিক্ত গরমকাল হলেও একটি ভালো দিক এখন অনেক ধরনের আম পাওয়া যায়। গরমকালে অতিরিক্ত পরিমাণে আম খেলে বদহজম এবং ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।

অনেকের পছন্দের ফল আম যার কারণে আম খাওয়ার পরিমাণটাও অনেক বেড়ে যায় এক্ষেত্রে অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে।আম অনেক উপকারী উপাদান থাকে তবে বেশি খেলে অনেক রকম সমস্যা হতে পারে।

আম বেশি খেলে যে সমস্যাগুলো হয়

যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের বেশি পরিমাণে আম খাওয়া উচিত না। প্রাকৃতিকভাবেই আমি প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব সীমিত পরিমাণে আম খেতে হবে।

অতিরিক্ত আম খাওয়া একদম উচিত না এক্ষেত্রে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা প্রতিবেলা আম খেতে পছন্দ করে তাদের হজমের সমস্যা এবং অ্যাসিড বা গ্যাস এ জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিবেলা আমনা খেয়ে এক বেলা আমরা রাখব।
আর্থাইটি বা বাতের সমস্যা যেসব রোগীদের আছে তাদের জন্য আম খাওয়া উচিত নয়। এ ধরনের রোগীরা বেশি আম খেলে এই রোগ গুলো আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেক্ষেত্রে যদি এ ধরনের রোগীরা আম খেতে পছন্দ করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খুব সীমিত পরিমানে আম খাওয়া উচিত।

যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের আম খুব সীমিত পরিমানে খেতে হবে বিশেষ করে বাচ্চাদের আম বেশি খেয়ে ফেললে অনেক সময় পেটে ব্যথা গায়ে লাল লাল হয়ে যেতে পারে।


আজকাল প্রায় অনেক আমি রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মেশানো হয় আমের রং আনার জন্য। যার কারণে আমাদের শরীরের নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে শরীরের রেশ এবং ফুসফুসেরও অনেক রকম ক্ষতি হতে পারে।

অতিরিক্ত আম খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা আরো বাড়িয়ে তোলে। তাই যারা আগে থেকেই গ্যাস্ট্রিকের এবং হজমের নানাবিদ সমস্যায় ভুগছেন তারা আম খাবেন খুব চিন্তা করে। হজম শক্তির ঠিক রাখতে আম অল্প পরিমানে খেতে হবে।

অনেকেই জানি আমের আঠা থেকে ঘা হতে পারে। তাই বাচ্চাদের কাছ থেকে আম দূরে রাখুন এবং খাবার সময় খুব সাবধানে ধুয়ে আম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এই আঠা থেকে নানান রকম ঘা পচরা দেখা দেয়।

যাদের আগে থেকেই হাই ব্লাড সুগারের মত সমস্যা আছে তাদের আম একেবারেই খাওয়া যাবেনা। আম খেলে তাদের যেকোনো সময় যেকোনো সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

আম অনেক সুস্বাদু হওয়ার কারণে আমরা অনেকেই অনেক বেশি আম খেয়ে ফেলি। আমে প্রচুর পরিমাণে আশ থাকে এই জন্য আমাদের ডায়রিয়া ও হতে পারে। আম যেহেতু গরমের ফল তাই বেশি আম খেলে এই গরমে ডায়রিয়া হতেই পারে।

উপসংহার

জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকেই আম পাতা শুরু হয়ে যায়। আমরা অনেকে অনেক পরিমাণে আম খেয়ে ফেলি কারণ আম অনেক স্বাদের ফল। যেহেতু এখন সব ফলেই কেমিক্যাল অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয় আমিও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তাই অতিরিক্ত পরিমাণে আম খাওয়ার ফলে আমাদের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url