বাত জ্বরের লক্ষণ, কারণ ও এর থেকে মুক্তির উপায়

  

সাধারণভাবে আমরা ভেবে থাকি আমাদের শরীরের গিরায় গিরায় ব্যথা বা বারবার জ্বর হলে মনে হয় সেটা বাতজ্বরের লক্ষণ। সেটা সবসময় সঠিক নাও হতে পারে। বাত জ্বরের বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে, আমাদের যদি মনে হয় সেটা বাতজ্বর হতে পারে তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে।
বাতজ্বর থেকে মুক্তি
বাতজ্বর হলেও ভয় পাবার কোন কারণ নেই। এটা থেকে নির্মূলের উপায় আছে। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে থেকে বাত জ্বরের লক্ষণ সঠিকভাবে জেনে তার প্রতিকার করতে হবে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বাতজ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়।

ভূমিকা

বাত ব্যথা ও বাতজ্বর কে আমাদের দেশের মানুষ অনেক সময় একই মনে করে থাকে। বিশেষ করে গ্রামের মানুষ যারা এখনো জানেনা বাতজ্বর ও বাত ব্যথা দুইটা আলাদা রোগ। এর কারণে বাত ব্যথা ভেবে বাতজ্বরের ভুল চিকিৎসা করে আরো বেশি ক্ষতি করে ফেলে। আমাদের উচিত বাদ জ্বর ও বাত ব্যথা সম্পর্কে ভালোভাবে জানা এবং তার ট্রিটমেন্ট করা।
বাতজ্বর সাধারণত বাচ্চাদের বেশি হয়ে থাকে। পাঁচ বছর বয়স থেকে পনেরো বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই আমরা যেকোনো সমস্যা হলে আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেব।

বাতজ্বরের কারণ

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে বাতজ্বর বেশি হয়ে থাকে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব ঠান্ডা স্যাতস্যাঁতে ঘরে বা পরিবেশে এই রোগের প্রধান কারণ। শিশুরা বিটা হিমোলাইটিক স্ট্রেপ্টোকক্কাস ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে আর সেটা হয় ঘনবসতিপূর্ণ এবং অস্বাস্থ্য পরিবেশের কারণে। এই ব্যাকটেরিয়া গলায় সংক্রমনের দু থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রোগটি দেখা দিতে পারে।
বাতজ্বর হৃদপিন্ডের বিশেষভাবে ক্ষতি করে থাকে। বাতজ্বর হওয়ার কারণে হৃদপিন্ডের ভাল্বের সমস্যা দেখা দেয়। অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও এই রোগ হতে পারে। পাশ থেকে ১৫ বছর বয়সের শিশুদের বেশি আক্রমণ করে থাকে বাতজ্বর। অনেক সময় পানীয় জাতীয় জিনিস যদি সেটা ফিল্টার জাতীয় না হয়ে থাকে তবে গলা ব্যথা শুরু হতে পারে এবং সেখান থেকে বাতজ্বর হতে পারে।

বাতজ্বরের বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ

  • মাঝে মাঝেই জ্বর হওয়া।
  • বুকে ব্যথা ও বুক ধরফর করা।
  • অল্প কাজেই অস্থির বোধ করা।
  • শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে বারবার ব্যথা হওয়া।
  • শরীরের বিভিন্ন অংশে বুকে পিঠে লালচে লালচে দাগ হওয়া।
  • মাঝে মাঝে হাত পায়ে কাঁপুনি হতে পারে
  • ত্বকে বিভিন্ন জায়গায় সিমের বিচির মত ডানা বের হতে পারে এবং সেটা ব্যথাযুক্ত হয়।
  • হৃদপিন্ডের প্রদাহের ফলে জ্বর হয়, বুকে ব্যথা করে, বুক ধরফর করে, নারীর গতি ও বেড়ে যেতে পারে।

বাতজ্বর থেকে মুক্তির উপায়

সব থেকে প্রথমে যেটা করা উচিত সেটা আমাদের পরিষ্কার থাকতে হবে বস্তি এলাকা বিভিন্ন ধরনের ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশ থেকে এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। যার কারণে এই ধরনের পরিবেশ এড়িয়ে চলা উচিত। যেকোনো কারণেই যদি গলা ব্যথা করে তবে আমাদের সবার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে, কারণ শিশুদের বিশেষ করে গলা ব্যথা থেকেই এই রোগটা বেশি হয়ে থাকে।

 রাতে শোয়ার আগে অবশ্যই ব্রাশ করে শুতে হবে। গলা ব্যথা হলে দিনে অবশ্যই পাঁচবার লবণ জল গরম করে গরগর করতে হবে। গরম পানি পান করার চেষ্টা করতে হবে। নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খালি পায়ে হাঁটা যাবে না ব্যাকটেরিয়া পা থেকে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। প্রতিদিন সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে এবং নাক, মুখ,চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে।

লেখকের মন্তব্যঃ

 বাতজ্বর এমন একটি রোগ যা দীর্ঘদিন যাবত থাকে। যার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে এবং বাতজ্বর যদি মনে করেন যে কমে গেছে তাহলে ভুল করবেন ঔষধ চলবে কিনা এটা চিকিৎসকের মতামত অনুযায়ী আপনারা সেবন করবেন ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url