ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন



চুল পড়া আমাদের নিত্য দিনের সমস্যা। নারী-পুরুষ সবাই এটা নিয়ে চিন্তিত। ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে চুল পড়া কমানো সম্ভব।আমরা খুব সহজেই বাড়িতেই থাকা উপকরণ দিয়ে চুলের বিশেষ যত্ন নিতে পারি। কম খরচে বাড়িতে বসে চুলের যত্ন করে চুলকে মজবুত ও মসৃন করা সম্ভব।




কি কি ব্যবহার করে আমরা চুল সুন্দর করতে পারি-

  •   ডিম ব্যবহার করে 
  •  পরিচ্ছনতা রেখে 
  •  পেয়াজের রস 
  •  লেবুর রস 
  •   নারিকেলের দুধ 
  •  মেহেদি পাতা 
  •  মেথি
  •   নারিকেলের তেল

ডিমঃ চুলে ডিমের ব্যবহার ডিম চুলের প্রোটিনের অভাব দূর করে। ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে বিশ মিনিট চুলে ভালোভাবে দিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে একবার করে এটি ব্যবহার করে দেখুন আপনারা অবশ্যই উপকৃত হবেন।
পরিচ্ছন্নতাঃ                                                                                                                                                     চুলকে পরিচ্ছন্ন রেখে আমরা চুল পড়া রোধ করতে পারি। প্রতিনিয়তই আমাদের কাজ করতে বাইরে যেতে হয়। ধুলাবালি চুলে বেশি থাকলে চুল ঝরে পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে আমরা বাইরে থেকে এসে চুলটাকে শ্যাম্পু করে ফেলব। চেষ্টা করব ভেজা চুল না বাধার। চুলের গোড়া নরম থাকায় ভেজা চুল বাধার পর পড়ে যেতে পারে। 
 পেয়াজের রসঃ                                                                                                                                              চুল সিল্কি করতে পেঁয়াজের রস খুবই কার্যকরী। এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজকে পেস্ট করে তার রস নিংড়ে বের করে সেই রসটাকে আমরা মাথায় এবং চুলের ভালোভাবে বিশ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলব। এতে করে আমাদের চুল যেমন মজবুত হবে তেমনি সিল্কি করতে সাহায্য করবে।
 মেহেদি পাতাঃ
মেহেদী পাতার কথা আমরা কম বেশি সবাই জানি এটা কতটা চুলের জন্য উপকারী। আগের দিনের মা খালারাও এই মেহেদির কথা জানে। চুলকে মোটা ও শক্ত করতে মেহেদি পাতার জুড়ে নেই। এখন বাজারেতেও আমরা মেহেদি পাতার বিভিন্ন ধরনের প্যাক কিনতে পাই, যা চুলে লাগিয়ে উপকৃত হই।
 
 তবে গাছের মেহেদী পাতা তুলে বেটে সেটা মাথায় ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায় কারণ বাজারের বিভিন্ন ধরনের প্যাকে মেহেদি পাতা ছাড়াও অনেক ধরনের কেমিক্যাল দিয়ে থাকে। সপ্তাহে দুই দিন আমরা মেহেদি পাতা বেটে চুলে লাগিয়ে বিশ মিনিট রেখে চুলটাকে ভালোভাবে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিব।
নারিকেল তেলঃ
 স্বাস্থ্যের যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, ত্বকের প্রয়োজনে প্রসাধনী, তেমনি চুল কেউ আমাদের খাদ্য দিতে হবে। সপ্তাহে তিন দিন আমরা নারিকেল তেল চুলে ব্যবহার করব। তেল ব্যবহার করলে চুল মসৃণ হয়। চুলের আগা ফাটা আমাদের চরম সমস্যা, তেল ব্যবহার করে এটা আমরা রোধ করতে পারি। নারিকেল তেল সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে চুলের আগা ফাটা কমে যাবে চুল শক্ত করবে।

যে খাবার খেয়ে আমরা ভেতর থেকে চুল মজবুত রাখবো





ডিম, গাজর, পালং শাক, মটরশুটি , সামুদ্রিক মাছ , পেয়ারা,বাদাম , পানি ও দু্‌ধ এই খাবারগুলো আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যা আমাদের চুলকে ভিতর থেকে মজবুত করতে সাহায্য করবে।
  •  চুলের সাথে যে কাজগুলো কখনো করা উচিত না
  •   প্রতিদিন বা বেশি বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার করব না ।
  •   ভেজা চুল কখনো বেঁধে রাখবো না।
  •   চিকন রাবার ব্যান্ড দিয়ে চুল বাধা থেকে বিরত থাকব।
  •   ভেজা চুল নিয়ে কখনো ঘুমাতে যাব না।
  •   প্রতিদিন পুরা চুল ভেজানো উচিত নয়।
  •   টাইট করে চুল বাঁধবো না, এতে করে চুল ভেঙে যায়।
  •   চুলে হিট বেশি পরিমাণ দেব না এবং গরম পানি দিয়ে চুল প্রতিদিন ধোবো না।
  •   জোরে জোরে প্লাস্টিকের চিরুনি দিয়ে চুলের জ্বট ছাড়াবো না। 
  • কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট এবং চুল স্টেট, কালার করা থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা জন্য চুলের জন্য ততটাই ভালো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url