আনারসে কি কি উপকারিতা ও অপকারিতা আছে




আনারস এমন একটি ফল যা পুষ্টিগুনে ভরপুর। আনারসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, এবং ভিটামিন সি থাকে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় তা ভাইরাসজনিত ঠান্ডা ও কাশি প্রতিরোধে ভুমিকা রাখে।আনারস খেলে বদহজম বা হজমজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাই।

আনারসের উপকারিতা অপকারিতা
তাছাড়া জন্ডিস প্রতিরোধে আনারস বেশ উপকারী। নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যথা, এইসবের ওষুধ হিসেবে আমরা আনারস খেতে পারি। আনারসে কোন ফ্যাট না থাকায় পরিমিত পরিমান আনারস খেলে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

খালি পেটে আনারস খেলে কি হয়ঃ

সকাল বেলা খালি পেটে আনারস খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। আনারসে আছে অনেকগুলি ঔষধি উপাদান। আনারসে আছে এনজয় মন ব্রমেলেইনএবং অ্যান্টিঅক্সাইড ভিটামিন সি। যারা অনেক দিন যাবত কৃমির সমস্যায় ভুগছেন, তারা প্রতিদিন সকালে আনারস পানি খেলে উপকার পাবেন। ব্রোমেলিন শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে, প্রদাহ রোধ করে। আনারস দাঁত কে ভালো রাখে, আনারসে থাকা ব্রমেলেইন দাঁত কে ভালো রাখতে সাহায্য করে।

আনারসে অনেক কম পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি থাকার কারণে অনেক সময় ধরে পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে। , যার কারণে ক্ষুধা নিবারণ করে এবং পাশাপাশি ওজন কমাবে এমন একটা খাবার। হজমেও অনেক সহায়তা করে মেদ কমাতে সাহায্য করে। আনারসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকর। পরিমাণের রস ও পানি থাকার কারণে ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি গ্যাসের সমস্যা দূর করতে অনেক কার্যকরী।

আনারস সুস্বাদু মৌসুমী ফল। এটি অনেকের কাছে অনেক প্রিয় আবার এটি অনেকে খেতে চান না।
আনারসে অনেক উপকারিতা আছে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই উপকারিতা গুলো।

আনারস খাওয়ার সঠিক নিয়ম

সকালে খালি পেটে আপনারা আনারস জুস বা আনারস খেতে পারেন। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তবে ব্যায়ামের শুরুর আগে কিংবা পরে আনারস খেতে পারেন। আনারস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

 আনারস হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, এজন্য আমাদের খাবার খাওয়ার আধা ঘন্টার মধ্যে কখনোই আনারস খাওয়া উচিত নয়। এতে করে খাবার হজম এবং গ্যাস গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। রাতে ঘুমানোর আগে আনারস খাওয়া উচিত নয় এতে করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

আনারস খাওয়ার উপকারিতাঃ

  • আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ! ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়া্‌ম , ফসফরাস ।
  • নামক এনজাইম থাকে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে কাশি সর্দি ঠান্ডা লাগা থেকে আমাদের নিরাময় করতে সহায়তা করে।
  • গলা ব্যথা ব্রংকাইটিসের ঔষধ হিসেবে আমরা আনারস খেতে পারি।
  • আনারস কোষ্ঠকাঠিন্যতা থেকে মুক্তি দেয়।
  • আনারসের প্রচুর পরিমাণে পানি ও রস থাকার কারণে এটি পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।
  • আনারসে থাকা ক্যালরি আমাদের শক্তির যোগান দেয়।
  • কুঁচকে যাওয়া ত্বককে টানটান রাখতে সহায়তা করে।
  • ব্রণ সহ ত্বকের নানা রকম সমস্যা আনারস যথেষ্ট কাজ করে।
  • কৃমি থেকে রক্ষা পেতে আমাদের প্রতিদিন আনারস খাওয়া উচিত।

আনারস খাওয়ার অপকারিতা

আনারসের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকে। এর কারনে এসিডের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। আমরা মনে করি দুধ আর আনারস একসঙ্গে খেলে মৃত্যু হতে পারে। এটি একটি কুসংস্কার ধারণা। পরিমিত আনারস খেলে দাঁতের যেমন উপকার হয় অতিরিক্ত পরিমাণ আনারস খেলে দাঁতের এনামেল হয়ে যেতে পারে এতে করে আমাদের দাঁতের অনেক ক্ষতি হতে পারে।

কাঁচা আনারস খেলে বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে শরীরে। গলা চুলকানো, তলপেটে ব্যথা বমি বমি ভাব সেক্ষেত্রে আমাদের তৎক্ষণাৎ আনারস খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কিছু মানুষের জন্য আনারস খাওয়ার এলার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাছাড়াও শরীরে লাল লাল দাগ হতে পারে।
 গর্ভবতী মহিলাদের আনারস খাওয়া নিষেধ। তবুও যদি গর্ভবতী মহিলারা আনারস খেতে চায় তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত। কাঁচা আনারস খেলে বমির প্রবণতা বেশি দেখা দেয়, তলপেটে ব্যথা হতে পারে।

গর্ভবতী মায়েদের কি আনারস খাওয়া ঠিক ?

এটি প্রচলিত নিয়ম হিসেবেই চলে এসেছে আমরা মা খালাদের কাছ থেকে শুনে থাকি গর্ভবতী মায়েদের জন্য আনারস খাওয়া নিষেধ। বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম তিন চার মাস তো একেবারেই না। গর্ভকালীন সময়ে টক মিষ্টি জাতীয় ফল খেতে মায়েদের বেশি ইচ্ছা করে। কিন্তু বাড়ির বড়রা আনারস খেতে বাধা দিয়ে থাকে।

কেন বাধা দেয় চলুন জেনে নেই- আনারসে প্রচুর পরিমাণে ব্রমিলিন থাকার কারণে গর্ভবতী মায়েদের এটি খাওয়া নিষেধ। কারণ ব্রোমেলিন গর্ভপাতের সম্ভনা বাড়িয়ে দেয় । যাদের হজম ক্ষমতা দুর্বল, সেই সব মায়েদের এসিডিটি, গলা বুক জ্বালা ইত্যাদি হতে পারে।

কোন মায়ের যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তবে তার একদমই আনারস খাওয়া যাবেনা।
আনারসে ক্যালরি পরিমাণ বেশি হয় যে সমস্ত মায়ের ওজন বেশি তাদের আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url